হাওজা নিউজ এজেন্সি: চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী লারিজানি এবং ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসিম আল-আরাজি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিও উপস্থিত ছিলেন।
ইরাক ও লেবানন সফরের অংশ হিসেবে লারিজানি সোমবার বাগদাদে পৌঁছালে আল-আরাজি তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।
প্রস্থানের আগে লারিজানি বলেন, “আমরা ইরাকের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তির খসড়া তৈরি করেছি, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—ইরানের জনগণের নিরাপত্তা প্রধান অগ্রাধিকার, তবে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকি।” তিনি আরও বলেন, ইরানের নিরাপত্তা প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
লারিজানি জানান, তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য বাগদাদে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তেহরান-বাগদাদ সহযোগিতা সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ইরান ও ইরাক বাগদাদে একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, যা যৌথ সীমান্ত সুরক্ষায় সমন্বয় বাড়ায়।
সফরের পরবর্তী ধাপে লারিজানি লেবানন সফরে যাবেন। তিনি বলেন, লেবানন পশ্চিম এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী দেশ, যার সঙ্গে ইরানের গভীর ও বিস্তৃত সহযোগিতা রয়েছে। আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
লেবাননের পরিস্থিতি নিয়ে ইরানের সুস্পষ্ট অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে লারিজানি বলেন, “লেবাননের স্বাধীনতা আমাদের কাছে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করারও আহ্বান জানান।
ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, ইরান ও লেবানন উভয়ই ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতে রয়েছে, এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
আপনার কমেন্ট